গুণীজন
ফ্রান্স সরকার স্থাপিত পাস্তুর ইনস্টিটিউটের পরিচালক থাকাকালে ১৮৯৫ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর এই মহান বিজ্ঞানী ইহধাম ত্যাগ করেন
সাদ বিন ওয়াহেদ
বাজারে প্রাপ্ত প্যাকেটজাত তরল দুধের গায়ে লেখা থাকে ‘পাস্তুরিত তরল দুধ’ বা ‘পাস্তুরাইজড মিল্ক’। এই ‘পাস্তুরিত’ শব্দটির সাথে একজন বিজ্ঞানীর নাম লুকিয়ে আছে। তিনি লুই পাস্তুর। বিশ্ববরেণ্য ফরাসি অণুজীববিজ্ঞানী ও রসায়নবিদ। তিনিই প্রথম আবিষ্কার করেন, অণুজীব অ্যালকোহলজাতীয় পানীয়ের পচনের জন্য দায়ী। তিনি নিজে চিকিৎসক ছিলেন না, কিন্তু চিকিৎসা জগতে রেখে গেছেন সবচেয়ে অমূল্য অবদান। জলাতঙ্ক রোগের কারণ এবং তার টিকা আবিষ্কার করে লুই পাস্তুর অমর হয়ে আছেন। এই টিকা আবিষ্কার করে তিনি পৃথিবীর সর্বকালের সর্বাধিক মানুষের কল্যাণ সাধন করে গেছেন।
লুই পাস্তুর ১৮২২ সালের ২৭ ডিসেম্বর ফ্রান্সের জুরা প্রদেশের রহ দোল শহরে এক ক্যাথলিক দরিদ্র পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। বেড়ে উঠেন আরবোয়া শহরে। দরিদ্র পিতা সেখানকার একটি ট্যানারিতে চাকরি করতেন। লুই পাস্তুর ছিলেন জিন-জোসেফ পাস্তুর এবং জেনি-এটিয়েনেট রোকির তৃতীয় সন্তান। পাস্তর ১৮৩১ সালে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রবেশ করেছিলেন।
তিনি তার প্রথম বছরগুলোতে একজন গড় শিক্ষার্থী ছিলেন এবং বিশেষত একাডেমিক ছিলেন না, যেমন তার আগ্রহ ছিল মাছ ধরা এবং স্কেচিং। তিনি তার পিতামাতা, বন্ধুবান্ধব এবং প্রতিবেশীদের অনেকগুলো প্যাসেল এবং প্রতিকৃতি আঁকেন। পাশের কলেজি ডি’আরবোইসের মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছিলেন। ১৮৩৮ সালের অক্টোবরে তিনি প্যারিসে যোগ দিয়েছিলেন পেনশন বারবেট, কিন্তু হোমসেক হয়ে ওঠে এবং নভেম্বর মাসে ফিরে আসেন।
১৮৩৯ সালে, তিনি ‘কলেজ রয়্যাল’-এ প্রবেশ করেন বেসানন দর্শনশাস্ত্র অধ্যয়ন করতে এবং ১৮৪০ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। বিশেষ গণিতের সাথে ডিগ্রি বিজ্ঞান কোর্স অব্যাহত রাখার সময় তিনি বেসানন কলেজে একজন শিক্ষক নিযুক্ত হন। ১৮৪১ সালে তিনি তার প্রথম পরীক্ষায় ব্যর্থ হন। তিনি পাস করতে সক্ষম হন স্নাতক বিজ্ঞান (সাধারণ বিজ্ঞান) ১৮৪২ সালে ডিজন থেকে কিন্তু রসায়নের একটি সাধারণ মানের সাথে ডিগ্রি এটি।
তার র্যাঙ্কিং কম থাকায় পাস্তুর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যে তিনি চালিয়ে যাবেন না এবং পরের বছর আবার চেষ্টা করবেন। পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য তিনি পেনশন বারবেটে ফিরে গেলেন। তিনি ক্লাসে অংশ নিয়েছিলেন লাইসি সেন্ট-লুই এবং বক্তৃতা জিন-ব্যাপটিস্ট ডুমাস সোরবনে ১৮৪৩ সালে, তিনি একটি উচ্চ র্যাঙ্কিং দিয়ে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন এবং ইকোল নরমলে সুপারিয়রে প্রবেশ করেন। ১৮৪৫ সালে তিনি পেয়েছিলেন লাইসেন্স বিজ্ঞান (স্নাতকোত্তর) ডিগ্রি। ১৮৪৬ সালে, তিনি কলেজ ডি টর্নন (এখন বলা হয়) পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক নিযুক্ত হন লাইসি গ্যাব্রিয়েল-ফিউরে [ভৎ ]) ভিতরে আর্দচে তবে রসায়নবিদ আন্টোইন জেরমে বালার্ড তাকে ফিরে চেয়েছিলেন ইকোল নরমলে সুপারভাইয়ার স্নাতক পরীক্ষাগার সহকারী হিসাবে (অগ্রগতি প্রাপ্য)।
তিনি বালার্ডে যোগ দিয়েছিলেন এবং একই সঙ্গে তার গবেষণা শুরু করেছিলেন ক্রিস্টালোগ্রাফি এবং ১৮৪৭ সালে, তিনি তার দুটি থিসিস জমা দিয়েছিলেন, একটি রসায়নে এবং অন্যটি পদার্থবিদ্যায়। সেখানে তিনি জৈব যৌগের আলোক সমাণুতা নিয়ে গবেষণা করেন। তিনি দেখান, আলো যখন জৈব যৌগের দ্রবণের ভেতর দিয়ে যায় তখন এর দিক পরিবর্তন ঘটে। তিনি প্রস্তাব করেন, একই জৈব যৌগ যাদের গঠন এক, তারা সমাণু হতে পারে যদি তারা একে-অপরের আলো প্রতিবিম্ব হয়।
১৮৪৮ সালে দিজোঁ লিসিতে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য রসায়নের অধ্যাপক হিসেবে চাকরি করেন। সেখানেই বিশ্ববিদ্যালয়ের রেক্টরের কন্যা মারি লরেন্তের সাথে প্রণয়ে আবদ্ধ হন। ১৮৪৯ সালের ২৯ মে তারা বিবাহ-বন্ধনে আবদ্ধ হন। পাঁচ সন্তানের তিনটিই প্রাপ্তবয়স্ক হবার আগেই টাইফয়েড রোগে মারা যায়। ব্যক্তিগতভাবে নির্মম এ ঘটনায় তিনি মুষড়ে না পড়ে এর প্রতিকারে মনোনিবেশ ঘটিয়েছিলেন।
তিনি গবেষণা কর্ম চালিয়ে যান এবং সেই সাথে দিজোঁ ও স্ত্রাসবুর্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা শুরু করেন। ১৮৫৪ সালে পাস্তুর স্থানীয় এক বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজ্ঞান বিভাগের ডিন হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন। তখন থেকেই তিনি স্থানীয় মদের কলগুলোতে গাঁজন প্রক্রিয়া নিয়ে গবেষণা শুরু করেন। তিনি দেখান, অ্যালকোহল উৎপাদন ইস্টের পরিমানের উপর নির্ভর করে। তিনি আরও প্রমাণ করেন, মদের অম্লতা তাতে ব্যাকটিরিয়ার ক্রিয়ার জন্য ঘটে।
মদের অম্লতা ফ্রান্সের মদ ব্যবসাতে এক বিশাল সমস্যা ছিল। এর ফলে প্রতিবছর অনেক অর্থ গচ্চা যেত। পাস্তুর মদের স্বাদ ঠিক রেখে ব্যাকটিরিয়া মুক্ত করার জন্য গবেষণা শুরু করেন। তিনি দেখেন মদকে গরম করলে ব্যাকটিরিয়া মরে যায় এবং মদের কোন পরিবর্তন হয় না। পাস্তুর একই পদ্ধতি দুধের ক্ষেত্রেও প্রয়োগ করেন এবং ভাল ফল পান। পাস্তুরের এই পদ্ধতি বিশ্বব্যাপী এখন ব্যবহৃত হচ্ছে। তার নামানুসারে এই পদ্ধতিকে ‘পাস্তুরায়ন (পাস্তুরাইজ্ড)’ নামে নামাঙ্কিত করা হয়।
পাস্তুর এখন মদে ব্যাকটিরিয়ার উৎস নিয়ে গবেষণা শুরু করেন। তৎকালে অনেকে ধারণা করতেন ব্যাকটিরিয়া নির্জীব বস্তু থেকে আপনা আপনি সৃষ্টি হয়। এর বিপক্ষেও অনেকে বিজ্ঞানী ছিলেন। গ্রিক দার্শনিক অ্যারিস্টটলের সময় থেকেই এই বিতর্ক ছিল, কিন্তু কোন বিজ্ঞানসম্মত উত্তর ছিল না। পাস্তুর পরীক্ষার মাধ্যমে দেখান, নির্জীব বস্তু থেকে ব্যাকটিরিয়া বা কোন রকম জীবনের সূত্রপাত হতে পারে না। তিনি প্রমাণ করেন, মদে বাতাস ও অন্যান্য মাধ্যম থেকে ব্যাকটিরিয়া আসে। পাস্তুর তার বিখ্যাত পরীক্ষার সাহায্যে যেটা দেখিয়েছিলেন তা হল, জীবাণুমুক্ত নিয়ন্ত্রিত (পাস্তুর প্রদত্ত) পরিবেশে প্রাণ আপনা আপনি জন্ম নেয় না; কিন্তু অন্য পরিবেশে অন্য ভাবে যে কখনই জন্ম নিতে পারবে না – এই কথা কিন্তু পাস্তুরের ফলাফল হলফ করে বলেনি।
পাস্তুরের পরীক্ষা ‘স্বতঃজননবাদ’কে ভুল প্রমাণ করেছে। স্বতঃজননতত্ত্বের দাবীদারদের সবাই বিশ্বাস করতেন জটিল জীব তার পূর্ণ অবয়বে নিজে নিজেই ‘সৃষ্টি’ হয়। যেমন- অ্যারিস্টটল বিশ্বাস করতেন কিছু মাছ এবং পতঙ্গের মত ছোট প্রাণি স্বতঃস্ফুর্তভাবে উদ্ভূত হয় । ব্রিটিশ গবেষক আলেকজান্ডার নিডহ্যাম (১১৫৭-১২১৭) বিশ্বাস করতেন, ফার গাছ সমুদ্রের লবণাক্ত পানিতে ফেলে রাখলে তা থেকে রাজহাঁস জন্ম নেয়। জ্যান ব্যাপটিস্ট হেলমন্ট (১৫৮০-১৬৪৪) ভাবতেন, ঘর্মাক্ত নোংরা অন্তর্বাস ঘরের কোনায় ফেলে রাখলে তা থেকে ইঁদুর আপনা আপনিই জন্ম নেয়। বিজ্ঞানী পুশে (১৮০০-১৮৭২) বিশ্বাস করতেন, খড়ের নির্যাস থেকে ব্যাকটিরিয়া বা অণুজীব স্বতঃস্ফুর্তভাবেই জন্ম নেয়। পাস্তুরের গবেষণা মূলতঃ এই ধরনের ‘সৃষ্টিবাদী’ ধারণাকেই বাতিল করে দেয়। কিন্তু পাস্তুরের পরীক্ষা কিংবা জৈবজনির কোন সূত্রই বলে না, প্রাথমিক জীবন জড় পদার্থ থেকে তৈরি হতে পারবে না।
১৮৬৫ সালে ফ্রান্স সরকার পাস্তুরকে ফ্রান্স রেশম শিল্পের সমস্যা সমাধানে আহ্বান জানায়। এক মহামারীতে রেশম পোকার উৎপাদন হ্রাস পেয়েছিল। পাস্তুর দেখেন রেশম পোকার এই সমস্যা বংশগত এবং মায়ের থেকে পরবর্তী প্রজন্মে সংক্রামিত হতে পারে। তিনি প্রস্তাব করেন কেবলমাত্র রোগমুক্ত গুটি বাছাই করার মাধ্যমেই রেশম শিল্পকে বাঁচানো সম্ভব।
লুই পাস্তুর দেখান কিছু রোগ অণুজীব দ্বারা সংঘটিত হতে পারে, যারা পানি ও বাতাসের মাধ্যমে ছড়ায়। তিনি তার জীবাণু তত্ত্বে দেখান, অণুজীব বৃহদাকার জীবকে আক্রমণ করে রোগ সংঘটিত করতে পারে।
পাস্তুর প্রথম অ্যানথ্রাক্সের টিকা আবিষ্কার করেন। তিনি গবেষণার মাধ্যমে বুঝতে পারেন গৃহপালিত পশুতে ‘অ্যানথ্রাক্স ব্যাসিলি’ এর আক্রমণেই অ্যানথ্রাক্স হয়। তিনি রোগ সৃষ্টিতে অক্ষম অ্যানথ্রাক্স ব্যাসিলি ভেড়ায় ইনজেকশনের মাধ্যমে প্রবেশ করান এবং দেখেন পরবর্তীকালে এগুলো আর রোগ সৃষ্টিতে সক্ষম ব্যাসিলি দিয়ে আক্রান্ত হয় না।
অ্যানথ্রাক্স প্রতিরোধক আবিস্কারের পর পাস্তুর অন্যান্য রোগের প্রতিরোধের জন্য গবেষণা শুরু করেন। তিনি জলাতঙ্ক নিয়ে কাজ করে দেখেন এটি নার্ভাস সিস্টেমের একটি রোগ এবং আক্রান্ত পশুর স্পাইনাল কর্ডের নির্যাস দ্বারা অন্য প্রাণিকে জলাতঙ্কে আক্রান্ত করা যায়। এই পদ্ধতিতে তিনি রোগ প্রতিরোধে অক্ষম জলাতঙ্ক ভাইরাস উৎপাদন করেন, যা জলাতঙ্কের টিকা হিসেবে ব্যবহার করা সম্ভব। ১৮৮৫ সালে পাস্তুর প্রথম জোসেফ মিস্টার নামক এক শিশু বালকের উপর এই টিকা প্রয়োগ করেন। ছেলেটি জলাতঙ্ক আক্রান্ত কুকুর কামড়িয়েছিল, তারপর ছেলেটির মা তাকে পাস্তুরের গবেষণাগারে নিয়ে আসেন। পাস্তুর ছেলেটিকে টিকা প্রদান করেন এবং ছেলেটি ভাল হয়ে উঠে। অথচ এর আগে পাগলা কুকুরে কামড়ালে মানুষের জলাতঙ্ক রোগ হতো এবং মারা যেতো। সারা বিশ্বে লুই পাস্তুরের নাম ছড়িয়ে পড়লো। লুই পাস্তুর সবার কাছে পরিচিত হলেন ‘জলাতঙ্ক রোগের ডাক্তার’ হিসাবে ।
জলাতঙ্কের টিকা আবিষ্কারের পরে ফ্রান্স সরকার পাস্তুর ইনস্টিটিউট স্থাপন করেন। ১৮৮৮ সালের ১৪ নভেম্বর পাস্তুর ইনস্টিটিউটটির উদ্বোধন করা হয়েছিল। লুই পাস্তুর বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ সহ বিজ্ঞানীদের একত্রিত করেছিলেন। ইনস্টিটিউটটির উদ্বোধনের এক বছর পরে, রক্স বিশ্বজুড়ে শেখানো মাইক্রোবায়োলজির প্রথম কোর্স স্থাপন করেছে, তারপরে শিরোনাম কোর্স ডি মাইক্রোবি টেকনিক (জীবাণু গবেষণা কৌশলসমূহ)। ১৮৯১ সাল থেকে পাস্তুর ইনস্টিটিউট বিভিন্ন দেশে প্রসারিত হয়েছিল এবং বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে ২৯টি দেশে ৩২ টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
দেশে লুই পাস্তুরের জনপ্রিয়তা ছিলো বিস্ময়কর। একবার ফ্রান্সে লুই পাস্তুরের জনপ্রিয়তার পরিসংখ্যান নেওয়া হয়। সেই পরিসংখানে তিনি পেয়েছিলেন সর্বাধিক সংখ্যক ভোট । দ্বিতীয় ও তৃতীয় হয়েছিলেন যথাক্রমে সম্রাট নেপোলিয়ান ও ভিক্টর হুগো।
বিদেশেও লুই পাস্তুর অসম্ভব জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন। ১৮৮২ সালে পাস্তুর জাতীয় কংগ্রেসের এক অধিবেশনে ফ্রান্সের প্রতিনিধি হয়ে লন্ডনে যান। লুই পাস্তুর যখন অধিবেশন হলে গিয়ে পৌঁছলেন তখন লোকে একেবারে ভেঙে পড়েছে। চারিদিকে লোকে লোকারণ্য লুই পাস্তুর ভাবছিলেন, রাজা বোধ হয় আসছেন সম্মেলন কক্ষে অধিবেশন উদ্বোধন করতে। লুই পাস্তুর পাশে বসা সভাপতিকে বললেন, “নিশ্চয় এখন রাজা আসছেন, তাই সবাই এমন জয়ধ্বনি করছে।”
সভাপতি জানালেন, “না রাজা আসছেন না। ওরা আপনাকেই অভিনন্দন জানাচ্ছেন। ওরা আপনাকেই এক নজর দেখার জন্য এতো ভিড় করেছে। আপনি এ অধিবেশনে আসছেন , এ সংবাদ সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে।”
তিনি পুরষ্কৃতও হয়েছেন নানাভাবে। তার উল্লেখযোগ্য পুরস্কারের মধ্যে রয়েছে -‘রামফোর্ড মেডেল (১৮৫৬, ১৮৯২)’, ‘কপলি মেডেল (১৮৭৪)’, ‘অ্যালবার্ট মেডেল (১৮৮২)’, ‘লিউয়েনহুক মেডেল (১৮৯৫)’ প্রভৃতি।
এই মহান বিজ্ঞানী পাস্তুর ইনস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক এবং আমৃত্যু তিনি উক্ত পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। ১৮৯৫ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর তিহাত্তর বছর বয়সে এই মানবতাবাদী বিজ্ঞানী ইহধাম ত্যাগ করেন। পাস্তুর ইনস্টিটিউট চত্বরেই তাকে সমাহিত করা হয়। আজো লাখো ভক্ত লুই পাস্তুরকে প্র্রতিদিন শ্রদ্ধা জানায়।
সূত্র : বায়োগ্রাফিক্যাল এনসাইক্লোপিডিয়া অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, দ্বিতীয় পরিমার্জিত সংস্করণ; লুই পাস্তুর-বায়োগ্রাফিক্যাল এন্ট্রি, এনসাইক্লোপিডিয়া অব অস্ট্রেলিয়ান সায়েন্স, ২৩ মার্চ ২০১০; জে. ওয়ালশ জেমস, ‘লুই পাস্তুর’, ক্যাথলিক এনসাইক্লোপিডিয়া, রবার্ট অ্যাপলিটন কোম্পানি, নিউইয়র্ক, ১৯১৩।
Leave a Reply