-হাফেজ মাওলানা আবু মূসা কবির
একটি মক্তবে শিশুরা পবিত্র কুরআন মাজিদ তেলাওয়াত করে। নাজেরাখানায়, হিফজখানায় আল্লাহর কালামের তেলাওয়াত হয়। এই কুরআনই হলো মানুষের সবধরনের উন্নতির আধার। এ তেলাওয়াত বন্ধ রাখা যায় না। কারণ, তেলাওয়াত বন্ধ রাখলে শিশুদের হিফজ থাকে না। ভুলে যায়। আল্লাহর অনেক বড় পরীক্ষা এই করোনা ভাইরাস। নতুন করে ভারতীয় ডেল্টা ধরন এখন বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। ইসলাম মানুষকে সচেতন থাকতে উৎসাহিত করে। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের আগে যেমন হাত ধুতে হয়, কোনো খেলেও টিস্যু দিয়ে মুছে নয়, হাত ধুয়ে খাওয়া সুন্নাত। করোনার কারণে ধৌত করার মতো বিষয়টি নতুন করে আবারও জানতে পেরেছে। অথচ নবীজী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দেড় হাজার বছর আগে এমন পরিচ্ছন্ন থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, এতে পুণ্য আছে বলেও ঘোষণা দিয়েছেন। সুতরাং করোনাকে থামাতেও আল্লাহর ভালোবাসা আমাদের অর্জন করতে হবে। তাই ফিরতে হবে কুরআনেই।
প্রিন্সিপাল, মাদরাসা উসমান রা. রামপুরা, ঢাকা
-মুফতী মশিউর রহমান
আমরা ঘরে আল্লাহকে ডাকি। কুরআনের কাছেই আমাদের ফিরতে হয়। কুরআন ছাড়া বিকল্প শান্তির আর কোনো পথ ও মত নেই। করোনাকালে মাদরাসা, স্কুলসহ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় চরম বিপর্যয়ে পড়েছে শিক্ষার্থীরা। আগামী বিশ্ব গড়ার জন্যই শিক্ষার্থীদের গড়ে তুলতে হবে। নতুন প্রজন্ম গড়ে না উঠলে দেশের উন্নতিও সম্ভব নয়। বিশেষত মাদরাসার শিক্ষার্থীদের বড় ক্ষতি হচ্ছে। কারণ, পাঠ-পঠনে না থাকলে কুরআন হিফজ থাকে না। স্বাস্থ্যবিধি মেনে কুরআন অধ্যয়নে আমি সমস্যা দেখি না। আজই মাদরাসা খুলে দিন। মাদরাসার শিক্ষার্থীদের আবারও কুরআনের চর্চার সুযোগ দিন। অবশ্যই বিধিনিষেধ মেনেই চালু হতে পারে মাদরাসা।
প্রিন্সিপাল, গ্রীণওয়ে মাদরাসা, মগবাজার ঢাকা
-হাফেজ মাওলানা ইউনুছ ইদরিস
কুরআন মাজিদে মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন, তোমরা কুরআন তেলাওয়াত করো শুদ্ধভাবে। (সূরা মুজাম্মিল আয়াত ৪) এ প্রেক্ষিতে কুরআন তেলাওয়াত বিশুদ্ধভাবে করা ফরজ। একইভাবে নামাজে কুরআন তেলাওয়াত শুদ্ধভাবে করা ফরজ।
অপরদিকে কুরআন তেলাওয়াতে ভুল হলে অর্থ পরিবর্তন হয়ে মারাত্মক গুনাহ হয়ে যায়। বিশ্বের সব ওলামায়ে কেরাম একমত, নামাজে তিলাওয়াত ভুল হলে নামাজ ভঙ্গ হয়ে যায়। (নামাজ ভঙ্গের প্রথম কারণ নামাজে তেলাওয়াত অশুদ্ধ পড়া)
আল্লাহ তাআলা বলেন, অবশ্যই আমি কুরআনকে সহজ করে দিয়েছি (সূরা কামার)। অপরদিকে লাখ লাখ মানুষ অতি অল্প সময়ে সহজে কুরআন শিক্ষা করে প্রমাণ করেছে, কুরআন শেখার চেয়ে সহজ আর কিছু নেই।
আমাদের অবশ্যই জানা আছে, কুরআন মাজিদের সুপারিশ ছাড়া কারো পক্ষে জান্নাতে যাওয়া সম্ভব নয়। আর কুরআন মাজিদের সুপারিশ পেতে হলে কুরআনকে ভালোবাসতে হবে, শিখতে হবে, সুমধুর কণ্ঠে তেলাওয়াত করতে হবে, কুরআনের আদেশ-নিষেধ মেনে চলতে হবে। আলহামদুলিল্লাহ। বর্তমান সারা বিশ্বে তেলাওয়াতে কুরআনের এক মেহনত চলছে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে। সেই প্রতিযোগিতায় নিজেদের অবস্থান মজবুত করতে ও তেলাওয়াতের মান উন্নত করতে নিয়মিত মাশকের বিকল্প নেই। আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে শুদ্ধভাবে কুরআনের তেলাওয়াত শিখে সেই অনুযায়ী জীবন অতিবাহিত করার তাওফিক দান করুক।
প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক, মিছবাহুল কুরআন ওয়াস্ সুন্নাহ
Leave a Reply