মুস্তাকিম আল মুনতাজ
সাম্প্রতিক সময়ে নেট দুনিয়া ভাইরাল হওয়া-বিহারের নওয়াদা জেলার অন্তর্গত হলদিয়া গ্রামের ফুলওয়ারিয়া বাঁধের দক্ষিণ প্রান্তে অবস্থিত-১২০ বছরের পুরনো মসজিদ। যেটি তিন দশক ধরে সম্পূর্ণরূপে নদীর জলে ডুবে ছিল, কিন্তু তার পরেও এটির সামান্যতম ক্ষয়-ক্ষতি হয় নি। ফলে ইতোমধ্যে হইচই পড়ে গিয়েছে বিহারে। বিহারের নওয়াদা জেলায় খরার ফলে এই মসজিদের উত্থান। ফুলওয়ারিয়া বাঁধের জলে এটি এক সময় ডুবে গিয়েছিল। জল শুকিয়ে যাওয়ায় এখন চাক্ষস হচ্ছে পুরো মসজিদটি।
অবাক করা বিষয় হলো- এতকাল পরেও মসজিদটির অবকাঠামো বা নির্মাণের কোনও রকম ক্ষতিই হয় নি। ফলে অবিকৃত থাকায় আশ্চর্য হচ্ছেন- সেখানকার মানুষেরা। বাঁধের পানি শুকিয়ে গেলেও পুরো এলাকা কাদাময় হয়ে আছে। ফলে মসজিদটি দেখতে প্রতিনিয়ত ভিড় করছেÑ আশপাশের হাজারো মানুষ। এরমধ্যে কৌতূহলী মুসলিমরা কাঁদা মাড়িয়ে মসজিদে প্রবেশ করেন। তারা দেখতে পান মসজিদটি পুরোপুরি অক্ষত রয়েছে! এ যেন মানব সম্প্রদায়ের জন্য মহান রবের অনুপম নির্দশন।
অনুসন্ধান করলে জানা যায়, এটি ৩০ বছর আগের এবং এই মসজিদটির নাম ছিল নূরী মসজিদ। যা মাটি থেকে গম্বুজ পর্যন্ত মসজিদের উচ্চতা প্রায় ৩০ ফুট। স্থানীয় প্রবীণরা জানান, ‘ফুলওয়ারিয়া ড্যাম নির্মাণ শুরু হয়েছিল ১৯৭৯ সালে। এখানে ছিল মুসলিমদের বেশ ভালো রকম বসবাস। তারা নিয়মিত নামায আদায় করতেন সেখানে। কিন্তু বাঁধ নির্মাণের জন্য তাদেরকে এই জায়গা ছেড়ে উঠে যেতে হয়। সরকার জায়গাটি অধিগ্রহণ করে। এবং অন্য আরেকটি গ্রাম হারদিয়াতে তাদের স্থানান্তর করা হয়। তবে বাঁধ নির্মাণের সময় মসজিদটির কোনও ক্ষতি করা হয়নি। সেই মসজিদ এখনও অক্ষত। এই মসজিদটি বিংশ শতকের প্রথম দিকে নির্মিত হয়। এখন এর বয়স প্রায় ১২০ বছর। মসজিদ নির্মাণের মুঘল রীতি অনুসরণ করা হয়েছে। সেটা দেখেই বয়স অনুমান করা সহজসাধ্য হয়েছে অনেকের কাছে’।
লেখক : আলেম- প্রাবন্ধিক, শিক্ষার্থী, শ্রীমঙ্গল সরকারি কলেজ
mustakimmuntaj18@gmail.com
Leave a Reply