ডা. মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ : বাংলা কথা রক্ত চাপ। কিন্তু ইংরেজীটাই পরিচিতি বলে বাংলা বুঝি না।এই ব্লাড প্রেসার নামক রোগটি আজকাল ব্যাপকভাবে প্রসার লাভ করেছে। যে কোন রোগীই ডাক্তার খানায় গিয়ে বলে থাকেন, ডাক্তার সাহেব, আমার প্রেসারটা একটু দেখেন তো। এটির সাধারণত শহরের ধনী ও বিলাসী ব্যক্তিদের রোগ। খেটে খাওয়া বা দিন মজুর মানুষের এরোগ হয় না। আর হলেওতা উচ্চ রক্ত চাপ হয় না,নিম্ন চাপেই থাকে। এখন বুঝতে হবে এই রক্ত চাপটি কি? উচ্চ রক্তচাপ ইহার ভাবী ফল অত্যন্তন ভয়ানক, আশংকা জনক।
হৃৎপিণ্ডের স্পন্দন দ্বারা যে শক্তি চালিত হয় ইহাই উচ্চ রক্তচাপ। ব্লাড প্রেসার অন্য রোগের অব্যবস্হা মাত্র। কোন সময় রক্তচাপ অত্যন্ত বাড়িয়াও যায়, কোন সময় কমিয়া যায়,শির পীড়া, মাথা পাক খাওয়া, বুকে চাপ বোধ,বুক ধড়ফড় করা,মাথা ভার বোধ, শারীরিক পরিশ্রমে অনীহা, শ্বাস কষ্ট, হাঁপানীর মতো অবস্হা, নিদ্রা কমিয়া যায়, মাঝে মাঝে নাসিকা হতে রক্ত পড়ে। আরো অনেক লক্ষ্মণ আসতের পারে, মাথায় রক্ত উঠিয়া অস্হিরতা, চিলিক মারা মাথা ব্যথা, চোখ, মুখ লাল তন্দ্রাচ্ছন্নভাব কিংবা সংজ্ঞাহীন অবস্হা ইত্যাদি।
হোমিওপ্রতিবিধান : রোগ নয় রোগীকে চিকিৎসা করা হয়, এই জন্য রোগীর পুরা লক্ষন মিলিয়ে চিকিৎসা দিতে পারলে তাহলে হোমিওতে উচ্চ রক্ত চাপ রোগীর চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব। অভিজ্ঞ হোমিও চিকিৎসকগণ উচ্চ রক্ত চাপের জন্য যেসব ঔষধ ব্যবহার করে থাকেন, একোনাইট, এড্রিনালিন, অরামমেট, ক্যাকটাস গ্র্যান্ডি, কেলিফস, নেট্রাম মিউর, ক্যাটে গ্র্যাস, সেফালেন্ড্রা ইন্ডিকা, অর্জুনসহ আরো অনেক মেডিসিন লক্ষণের উপর আসতে পারে। তবে সাবধান চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ঔষধ সেবন করলে রোগ আরো জটিল আকারে পৌঁছতে পারে।
লেখক : স্বাস্থ্য বিষয়ক উপদেষ্টা, হিউম্যান রাইটস রিভিউ সোসাইটি কেন্দ্রীয় কমিটি।
drmazed96@gmail.com
Leave a Reply