অত্যন্ত সন্তর্পণে হিন্দু-মুসলমানের মাঝে দাঙ্গা পরিস্থিতি সৃষ্টি! আর তার দায় মুসলিমদের ঘাড়ে চাপিয়ে ভারত থেকে মুসলিমদের তাড়ানোর একভয়াল খেলায় মেতে উঠেছে মহাগুরু নামের একপিশাচ! অথচ তার এ খেলার সবটাই চলছে ধর্মচর্চা আর মানবসেবার ছদ্মাবরণে।
সে তার হীন ও ঘৃণ্য উদ্দেশ্য পরিপূরণের অভিপ্সায় আইওয়াশমূলক মেডিটেশনও চালু করেছে। ধোঁকার জালে আটকে ফেলেছে গোটা প্রশাসন-এমনকি ভারতীয় সেনাবাহিনীকে পর্যন্ত। তার কার্যসিদ্ধিতে চৌকস ও আত্মোৎসর্গকারী একটি কিলিং মিশনও গড়ে তুলেছে!
এই মিশনের প্রয়োজনে পথের মানুষকেও তুলে এনে রাতারাতি পরিণত করছে হিরোতে। সেনাবাহিনীর মাঝে ঢুকিয়ে দিয়েছে নিজস্ব গোয়েন্দা এজেন্ট। আবার গা বাঁচাতে এবং নিজেদের সন্ত্রাসী তৎপরতার প্রমাণ মুছে ফেলতেও খুবই ধূর্ত সে এককৌশলী। ধর্মের নামে ‘উন্মাদ’ করে তোলা এক শিষ্যকে দিয়ে আরেক শিষ্যকে হত্যা! আবার প্রিয় শিষ্যকে হিরো থেকে জিরো বানাতেও পিছু হটছে না খুনোখুনিতে সিদ্ধহস্ত ওই মহাগুরু!!
কিলিং মিশনের যাবতীয় জঙ্গি তৎপরতায় নিযুক্ত করেছে তার নিজস্ব গোয়েন্দাচক্রকে। মন্দিরে হামলা, হত্যাকা-, ধর্ষণ ও লুটতরাজ করিয়ে দিব্যি তার দায়দায়িত্ব চাপিয়ে দিচ্ছে মুসলিম সমাজের ঘাড়ে। প্রতিটি ঘটনার সাথে মিথ্যা চিরকুট ছড়িয়ে হিন্দুদের কাছে মুসলিমদের চরম জঙ্গি হিসেবে তুলে ধরছে। এমনকি, তার অপকর্মের সাথে বিরোধ পোষণ করায় ভারতীয় সেনাবাহিনী-প্রধানের কন্যা এবং তারই হাতেগড়া অনুগত শিষ্যকেও অপহরণ করতে এতটুকু পিছপা হচ্ছে না সে।
এমনি এক রহস্যঘেরা পরিস্থিতিতে সেনাপ্রধান তার কন্যাকে উদ্ধার ও কিলিং মিশনের রহস্য ভেদ করার দায়িত্ব অর্পণ করেন চৌকস মুসলিম সেনাঅফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাদমানের ওপর। অসংখ্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে বহুবিধ চড়াই-উতড়াই পেরিয়ে সাদমান কি পারবেন মহাগুরুর সকল চক্রান্তকে ব্যর্থ করে দিতে?।
লেখক : কবি ও কথা সাহিত্যিক
Leave a Reply