শেখ ফজলুল করীম মারুফ : সংসদে কওমী সনদ সংক্রান্ত বিল পাশের মাধ্যমে দীর্ঘ আন্দোলনের বিজয় সাধিত হলো।
ইংরেজ আমল থেকেই এই ভুখণ্ডের স্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম করা একটি শিক্ষা ধারা যা দেশের সবচেয়ে বিস্তৃত এবং জনমুখি শিক্ষাব্যবস্থা সেই শিক্ষা ব্যবস্থা নিজ দেশেই রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতিহীনতায় ভুগেছে ৪৭ টি বছর।
এদেশের মানুষের প্রতি মুহুর্তের সাথে ওৎপ্রোতভাবে জড়িত এই শিক্ষাধারার শিক্ষিতজনেরা দীর্ঘকাল রাষ্ট্রীয়ভাবে “অশিক্ষিত” বিবেচিত হয়েছে!
গৌরবান্বিত ঐতিহ্যবাহী এবং জীবনমুখী জ্ঞানে প্রাজ্ঞজনেরা রাষ্ট্রের কাছে “মুর্খ” বিবেচিত হয়েছে বছরের পর বছর!!
নিজ দেশে এমন নির্মম বঞ্চনার নজীর পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল।
এদেশের কওমী শিক্ষার্থীগণ এই নির্মম বঞ্চনার শিকার হয়েছে। এবং স্বাভাবিকভাবেই এই বৈষম্যের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলেছে।
দেশের ইসলামপন্থী প্রায় সকল সংগঠনই কওমী সনদের স্বীকৃতির দাবিতে বিভিন্ন সময়ে আন্দোলন করেছে।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এবং ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনও বিভিন্ন সময়ে এই দাবিতে মিছিল মিটিং করেছে। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সকল জাতীয় মহাসমাবেশে এই দাবী উচ্চকিত হয়েছে।
সকল সংগঠনের ভিন্ন ভিন্ন প্লাটফরম থেকে একই দাবী বাররংবার উত্থাপিত হওয়ায় এটা গণদাবিতে পরিণত হয়েছিলো। যার বাস্তবায়ন গতকালকে [বুধবার] হলো।
এই ঘটনা দেশের ইসলামপন্থীদের জন্য একটা মাইলফলক। দলগত ভিন্নতা থাকলেও কোনো দাবী যদি একই সুরে বারংবার তোলা যায় তাহলে সেই দাবী আদায় হবেই।
এখান থেকে শিক্ষা নিয়ে সকল দল তাদের দলীয় স্বাতন্ত্র্যতা বজায় রেখেও যদি একযোগে খেলাফত আলা মিনহাজিন নবুওয়াহ এর দাবী তুলতে পারি তাহলে একদিন খেলাফতের দাবিও পূরণ হবে ইনশাআল্লাহ।
প্রসঙ্গত, ১৯ সেপ্টেম্বর বুধবার ২০১৮ শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ ‘আল হাইআতুল উলয়া লিল জামি’আতিল কওমিয়া বাংলাদেশ’ এর অধীন ‘কওমি মাদ্রাসমূহের দাওরায়ে হাদিসের (তাকমীল) এর সনদকে মাস্টার্স ডিগ্রি (ইসলামিক স্টাডিজ ও আরবি) এর সমমান প্রদান বিল-২০১৮’ সংসদে পাসের প্রস্তাব করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়।
এর আগে বিলের ওপর দেওয়া জনমত যাচাই, বাছাই কমিটিতে পাঠানো এবং সংশোধনী প্রস্তাবগুলো নিষ্পত্তি হয়। গত ১০ সেপ্টেম্বর বিলটি সংসদে তোলার পর তা পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়।
ইংরেজ আমল থেকেই এই ভুখণ্ডের স্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম করা একটি শিক্ষা ধারা যা দেশের সবচেয়ে বিস্তৃত এবং জনমুখি শিক্ষাব্যবস্থা সেই শিক্ষা ব্যবস্থা নিজ দেশেই রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতিহীনতায় ভুগেছে ৪৭ টি বছর।
এদেশের মানুষের প্রতি মুহুর্তের সাথে ওৎপ্রোতভাবে জড়িত এই শিক্ষাধারার শিক্ষিতজনেরা দীর্ঘকাল রাষ্ট্রীয়ভাবে “অশিক্ষিত” বিবেচিত হয়েছে
Leave a Reply