একজন মাদরাসা শিক্ষকের কথা বলছি। তার মাসিক বেতন ১১ হাজার টাকা। মাস শেষে বেতন পেলে কিংবা না পেলেও বাপের হাতে তুলে দেয় ৫/৬ হাজার টাকা। বাকিটা নিজের খরচ বউয়ের খরচ আর গাড়ি ভাড়াতেই শেষ। কখনো কখনো বাপকে অনলাইনে টিকেটও কেটে দেয়। কিছু কিছু সঞ্চয়েরও চেষ্টা চলে। এই শিক্ষকের বউয়ের সিজার হয়। সিজারের আগে ও পরের চেক-আপ ওষুধপত্র সবমিলিয়ে ৩০ হাজারের মত খরচ হয়।
সবকিছুই নিজে বহন করে।
যে মাসে এত টাকা খরচ, সে মাসেও তার বাবা টাকা চাইছেন। বলছেন উনার হাত খালি। অথচ, আগে কখনো চাইতেন না। তার ছোটবোন একজন বর্তমানের ইন্দন দাতা। শিক্ষকটি ছাত্র জামানায় যখনই কোন কাজ শিখতে চাইতেন, তার বাবা মা অনুৎসাহিত করতেন।
উপদেশ দিতেন, “তুই আলেম হবি। মাদরাসা মসজিদ নিয়া থাকবি। দুয়া করবি। তোর কামাই আমরা খেতে চাই না।”
এমন আরও কত কত মুখরোচক বাণী। টাকা লাগবে না। দ্বীনের সাথে জুড়ে থাকাটাই যেন একমাত্র তাদের চাওয়া। কিন্তু, আজকের বাস্তবতা বলছে ওসব বাণী মিথ্যা। যদি পড়াশোনার পরও সে তার মন মত কাজগুলো শিখে হালাল ইনকামের চেষ্টা করেছিল একমাত্র পরিবারের জন্যই।
তখন সবাই টাকা চায়নি।
এখন চায়।
বিয়ের পর থেকে সে আজ ২ বছর ধরে নিজের টাকায় কাপড় কিনে পছন্দের একটা পাঞ্জাবি বানাতে পারেনি।
ছেলে হয়েছে মাসখানেক হল, মনমতো একটা কাপড় কিনে দিতে পারেনি।
নিজের চোখ পরীক্ষা করে নতুন একটা চশমা নেয়া দরকার, সেটাও পারছে না।
ভাঙ্গা চশমাটিকেই সুপার গ্লু লাগিয়ে ব্যবহার করছে।
এসব হল জীবনের বাস্তব গল্প।
লেখক : তরুণ আলেম
Leave a Reply