আমিনুল ইসলাম কাসেমী
শায়েখে চরমোনাই একজন রুহানী চিকিৎসক। একদম স্পষ্ট ভাষায় রোগের কথা বলে দিলেন। কিছু কিছু শুভাকাঙ্ক্ষী এবং মুরিদগণ কোন রোগে আক্রান্ত, সেটা সাফ জানালেন।
যে ডাক্তার যে বিষয়ে অভিজ্ঞ, সে কিন্তু খুব তাড়াতাড়ি রোগ নির্ণয় করতে পারেন। এ জন্য মানুষ স্পেশালিস্ট ডাক্তারের কাছে যায়। নিজের রোগ- ব্যাধির ব্যাপারে সেখানে চিকিৎসা নিয়ে উপকৃত হয়।
শায়েখে চরমোনাই (মুফতী ফয়জুল করীম) একজন পীরে কামেল। আবার তিনি মানুষের রুহানী ডাক্তার। কোন মুরিদ কোন রোগে আক্রান্ত সেটা তাঁর জানা আছে। অভিজ্ঞ ডাক্তার যেমন রোগীর চেহারা দেখলে বুঝতে পারে। ঠিক তিনি এমন এক রুহানী ডাক্তার, মানুষ দেখলেই বুঝতে পারে সে কোন রোগে আক্রান্ত।
কিছু কিছু মানুষের মধ্যে নেফাকী চরিত্র আছে। যেটা রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জামানায় ছিল। তারা রাসূলের মজলিসে বসেছেন। ওয়াজ শুনেছেন। আল্লাহর হাবীবের সাথে জামাতেও নামাজ পড়েছেন। কিন্তু তাদের মুনাফেকী ধরা পড়ত না। শেষমেষ তাদের মুনাফেকী ধরা পড়ে জিহাদের ময়দানে গিয়ে।
তদ্রূপ কিছু মানুষ আছে, ত্রিশ বছরধরে চরমোনাই আসা- যাওয়া করে, তাদের মুনাফেকী ধরা পড়ে না। তবে নির্বাচন এলে তাদের মুনাফেকী ধরা পড়ে যায়।
আসলে শায়খে চরমোনাই রুহানী ডাক্তার। তাঁরা এভাবে মুরিদদের রোগ নির্ণয় করে চিকিৎসা দিয়ে থাকেন। যাতে সংশোধন হয়ে খাঁটি মুমিন হয়ে যায়। আল্লাহ আমাদের উপর রহম করুন। আমিন।
লেখক : মাদরাসা পরিচালক ও কলামিস্ট
Leave a Reply