হাকীমুল ইসলাম আল্লামা শাহ্ মুফতী আব্দুল হালীম বোখারী (রহ)। সুন্দর রুচিশীল আচরণ, বিনয় ও নম্র ব্যবহার, বড়দের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাবোধ ও আকাবিরের অকুন্ঠ আনুগত্য ইত্যাদি চারিত্রিক সৌন্দর্য্য ও উন্নত গুণাবলির অধিকারী এক অনন্য ব্যক্তিত্ব। কঠিন সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত, পরিস্থিতির যথার্থ অনুধাবন ও দূরদর্শীতামূলক সিদ্ধান্ত গ্রহণের কারণেই তিনি ছাত্রজীবন থেকে সমাজে গ্রহণযোগ্যতা ও নেতৃত্বের যোগ্য হয়ে উঠেন। সৃজনশীল পাঠদান পদ্ধতি, মনমুগ্ধকর উপস্থাপনা, দুর্বোধ্য বিষয়সমূহকে সহজভাবে ও সংক্ষেপে বুঝানোর বিস্ময়কর দক্ষতা, সকল শ্রেণীর ছাত্রদের বোধগম্য ও উপকারী তাকরীর ইত্যাদি অনন্য বৈশিষ্ট্যবলীর কারণে ছাত্রদের হৃদয়-মনে ভালবাসার স্থান অধিকার করে আছেন। বর্তমানে তিনি জামিয়ার শায়খুল হাদীস ও মুহতামিম। ইতিপূর্বে তিনি জামিয়ায় তিরমিযী শরীফের ঐতিহাসিক ভাষ্যকার ও জামিয়ার শিক্ষা বিভাগীয় প্রধান ছিলেন। এ সময় তিনি শিক্ষা পাঠ্যক্রম উন্নয়নে বিশেষ ও উল্লেখযোগ্য ভুমিকা পালন করেন। ২০০৮ইংরেজী/১৪২৯ হিজরী থেকে অদ্যবধি তিনি জামিয়া প্রধানের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। পরিচালনার দায়িত্বে আসার পর জামিয়া পটিয়ার গৌরবোজ্জ্বল অতীত সংরক্ষণের পাশাপাশি বর্তমানকে সমৃদ্ধ ও ভবিষ্যৎকে বর্ণিল করার প্রানান্তকর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তাঁর নিষ্ঠাপূর্ণ সুষ্ঠু পরিচালনায় জামিয়া পটিয়া এখনো বহুমূখী উন্নয়ন-উন্নতির ধারা অব্যাহত রেখেছে। বর্তমানে তিনি আল-জামিয়া আল-ইসলামিয়া পটিয়ার সুষ্ঠু পরিচালনার পাশাপাশি আরো বহু মাদরাসার পরিচালনা ও পৃষ্ঠপোষকতার দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক উন্নয়নশীল ও সংস্কারধর্মী সংগঠনের পরিচালনা করে জাতির অনেক বড় খেদমত করে যাচ্ছেন। তাঁর সরাসরি পৃষ্ঠপোষকতা ও তত্ত্বাবধানে ‘ফাতাওয়া আল-জামিয়া আল-ইসলামিয়া পটিয়া’ প্রকাশের আলো দেখছে। প্রকাশনার এই শুভলগ্নে এই বিরল ব্যক্তিত্বের জীবন ও কর্ম নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করা হলো-সলিমুদ্দিন মাহদি কাসেমী।
জন্ম ও বংশ পরিচয়
ইলমী জগতের এ কিংবদন্তি চট্টগ্রামের ‘লোহাগাড়া’ থানার অন্তর্গত ‘রাজঘাটা’ গ্রামে ১৯৪৫ সালের জানুয়ারী মাসে একটি ঐতিহ্যবাহী ইলমী ও সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মলাভ করেন। তাঁর পিতার নাম আল্লামা আব্দুল গণী বোখারী রহ.। তিনি তাঁর প্রিয় সন্তানের নাম রাখেন আব্দুল হালীম। তার পরদাদা সৈয়দ আহমদ বোখারী (রহ.) উজবেকিস্তানের বোখারার বাসিন্দা ছিলেন।
মূলতঃ বোখারা, সমরকন্দ, উজবেকিস্তান ও খোরাসানসহ বৃহত্তর রাশিয়া ছিল এক সময়ে ইসলামের উর্বরক্ষেত্র। ইসলামের সোনালী যুগকে হারিয়ে যে এলাকাগুলো এখনো বুক থাবড়ে বিলাপ করে, তন্মধ্যে অন্যতম হল এ এলাকাগুলো। ইসলামের মৌলিক খেদমত তথা হাদীস শাস্ত্রের সিংহভাগ খেদমত রচিত হয়েছে এ অঞ্চলগুলোতে। এ অঞ্চলগুলোতেই জন্ম হয়েছিল বহু বিশ্ববিখ্যাত মুহাদ্দিস ও হাদীস বিশারদ এবং বিশ্ববিখ্যাত হাদীসগ্রন্থসমূহের প্রণেতাগণ। সে সোনালী যুগের ঐতিহ্যবাহী অনেক স্থাপনা এখনো ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে আছে সেখানে। সে বোখারার বংশোদ্ভ‚ত আল্লামা সৈয়দ আহমদ আবদুল্লাহ শাহ বোখারী রহ. শত বছর আগে রাশিয়ার তৎকালীন ইসলাম বিদ্বেষী সরকারের রোষানলে পড়ে আপন মাতৃভূমির মায়া ত্যাগ করে নবীজি (স.)-এর সে ঐতিহাসিক হিজরাতের সুন্নাত অনুসরণে বাধ্য হয়েছিলেন। বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় সীমানা এবং দুর্গম গিরিপথ পাড়ি দিয়ে মিয়ানমারের রেঙ্গুনে, বর্তমান ইয়াঙ্গুনে এক মসজিদের ইমাম মাওলানা রাহাত আলী সাহেবের কাছে আশ্রিত হয়েছিলেন। তিনি এই মুহাজির আলেমের জ্ঞান-গুণ দেখে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধাশীল ও ভক্ত হয়ে যান। ইমাম সাহেবের বাড়ি ছিল তখনকার ব্রিটিশের অঙ্গরাজ্য বর্তমান বাংলাদেশের লোহাগাড়া থানায়। তিনি ইয়াঙ্গুন থেকে নিজ গ্রামে ফিরে আসার সময় সে মুহাজির আলিমকে সাথে করে নিয়ে এসেছিলেন। লোহাগাড়ায় আসার পর তাঁর সাথে বিয়ে হয় ইমাম সাহেবের ঘনিষ্ঠা এক বিধবা আত্মীয়ার। সে ঘরে জন্ম হয়- আল্লামা শাহ আবদুল গনী বোখারী (রহ.)। তিনি একজন বড় মাপের আলেম ছিলেন। ওয়াজ-নসীহত ও বাহাস-বিতর্কের মাধ্যমে শিরক-বিদআতের মোকাবিলায় তিনি ছিলেন অকুতোভয় ও নির্ভীক। দক্ষিণ চট্টলায় যাদের মেহনতে হক্বের প্রচার-প্রসার এবং দেওবন্দিয়াতের চাষ ও সেচ হয়েছে, তিনি ছিলেন তাদের অন্যতম। তিনি উর্দূ, ফার্সী এবং আরবী ভাষার পÐিত ছিলেন। তাঁর লেখায় এই তিন ভাষার মিশ্রণ থাকত। তাঁর হাতের লেখা ছিল মুক্তার মতো চমৎকার। তিনি দক্ষিণ চট্টগ্রামের একজন সুপরিচিত বক্তা এবং আল্লাহওয়ালা বুযুর্গ হিসেবে সর্বশ্রেণীর কাছে সমাদৃত ছিলেন। লোহাগাড়ার রাজঘাটা হোসাইনিয়া মাদরাসা এবং পদুয়া হেমায়েতুল ইসলাম মাদরাসার গোড়াপত্তনে তাঁর অবদান ও ভুমিকা ছিল অগাধ ও অপরিসীম। তিনি রাজঘাটা মাদরাসায় ২৪ বছর আওয়াল সাহেব তথা প্রধান উস্তাদ হিসেবে এবং পদুয়া মাদরাসায় ৪০ বছর মুহতামিম হিসেবে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেন। বাকপটুতায় ও দরস-তাদরীসে তিনি ছিলেন অনন্য। তিনি পটিয়া মাদরাসাসহ অনেক বড় বড় মাদরাসার শূরা সদস্য ছিলেন। তাঁর বড় ছেলে হলেন- আল-জামিয়া আল-ইসলামিয়া পটিয়ার স্বনামধন্য প্রধান পরিচালক ও শায়খুল হাদীস আল্লামা শাহ মুফতী আবদুল হালীম বুখারী রহ।
শিক্ষা-দীক্ষা
খ্যাতিমান এই ইসলামি চিন্তাবিদ লোহাগাড়া থানার অন্তর্গত ‘রাজঘাটা হোসাইনিয়া আজিজুল উলুম মাদরাসা’য় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা অত্যন্ত কৃতিত্বের সাথে সমাপ্ত করেন। অতঃপর উপমহাদেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ দ্বীনি বিদ্যাপীঠ আল-জামিয়া আল-ইসলামিয়া পটিয়ায় জামাতে দুয়ামে (আলিয়া ২য় বর্ষ) ভর্তি হন। ১৯৬৪ সালে তিনি অত্যন্ত সুনাম ও কৃতিত্বের সাথে ‘দাওরায়ে হাদীস’ পাশ করেন। জ্ঞানতাপস এই আদর্শ পুরুষ এতটুকুতে ক্ষান্ত হননি। জ্ঞানের সকল শাখায় বিচরণের স্বপ্ন নিয়ে অদম্য সাহসিকতা ও অধ্যবসায়ের মাধ্যমে তিনি আরো কয়েক বছর যাবৎ শিক্ষাজীবন চালু রাখেন। এই ধারাবাহিকতায় তিনি ১৯৬৫ সালে আল-জামিয়া আল-ইসলামিয়া পটিয়ার ‘বাংলা সাহিত্য ও গবেষণা বিভাগে’ অধ্যয়ন করেন। অতঃপর টাঙ্গাইল আলিয়া মাদ্রাসা থেকে আলিম ও কামিল এবং গোপালপুর মাদরাসা থেকে ফাজিলে ১ম স্থানে উত্তীর্ণ হন। ১৯৬৯ইং সনে টাঙ্গাইল কাগমারি এইচ.এস.সি এবং ১৯৭৫ সালে বি.এ পাশ করেন। এছাড়া তিনি লাহোর ডন হোমিও প্যাথিক কলেজে বাইও ক্যামিকের উপর ২বছর মেয়াদী কোর্স করে ১ম বিভাগে উত্তীর্ণ হন। সবার সাথে সুন্দর রুচিশীল আচরণ, বিনয়, নম্র ব্যবহার, বড়দের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাবোধ, আকাবিরের অকুন্ঠ আনুগত্য ইত্যাদি চারিত্রিক সৌন্দর্য্য ও উন্নত গুণাবলির কারণে ছাত্রজীবন থেকেই সমাজে গ্রহণযোগ্যতা ও নেতৃত্ব লাভ করেন।
কর্মজীবন ও অধ্যাপনা
বিজ্ঞ এ হাদীস বিশারদ কর্মজীবন শুরু করেন শিক্ষকতার মধ্য দিয়ে। প্রথমে তিনি ১৯৬৭-১৯৬৮ সাল পর্যন্ত টাঙ্গাইল দারুল উলূম আলিয়া মাদরাসায় আরবী প্রভাষক হিসেবে খেদমত করেন। তারপর ১৯৬৮ থেকে ১৯৭২ সাল পর্যন্ত সাতকানিয়া মাহমুদুল উলুম আলিয়া মাদরাসায়, অতঃপর ১৯৭২ থেকে ১৯৮২ সাল পর্যন্ত পুনরায় টাঙ্গাইল দারুল উলূম আলিয়া মাদরাসায় মুহাদ্দিস ও শায়খুল হাদীস এর দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৮২ সালে নিজ উস্তাদগণের আহবানে সাড়া দিয়ে চলে আসেন স্বীয় মাতৃকোড় উপমহাদেশের বৃহত্তম শিক্ষাকেন্দ্র আল-জামিয়া আল-ইসলামিয়া পটিয়ায়। দীর্ঘ ২০ বছর তিরমিজি শরীফের দরস প্রদান করেন। বর্তমানে তিনি জামিয়ার শায়খুল হাদীস হিসেবে “সহীহ বোখারী শরীফ” এর দরস দিয়ে যাচ্ছেন। সৃজনশীল পাঠদান পদ্ধতি, মনমুগ্ধকর উপস্থাপনা, দুর্বোধ্য বিষয়সমূহকে সহজভাবে ও সংক্ষেপে বুঝানোর বিস্ময়কর দক্ষতা, সকল শ্রেণীর ছাত্রদের বোধগম্য ও উপকারী তাকরীর ইত্যাদি অনন্য বৈশিষ্ট্যবলির কারণে ছাত্রদের হৃদয়-মনে ভালবাসার স্থান অধিকার করে আছেন। তিন বছর জামিয়ার শিক্ষা সচিব ছিলেন। এ সময় তিনি শিক্ষা পাঠ্যক্রম উন্নয়নে বিশেষ ও উল্লেখযোগ্য ভুমিকা পালন করেন।
মৃত্যুর পূর্বে তাঁর কর্ম-ব্যস্ততা
২০০৩ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত তিনি জামিয়া পটিয়ার সহকারী পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন। অতঃপর ৩০-১০-২০০৮ইং মোতাবেক ২৯-১০-১৪২৯ হিজরী থেকে অদ্যবধি তিনি জামিয়া প্রধানের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। পরিচালনার দায়িত্ব পাওয়ার পর জামিয়া পটিয়ার গৌরবোজ্জ্বল অতীত সংরক্ষণের পাশাপাশি বর্তমানকে সমৃদ্ধ ও ভবিষ্যৎকে বর্ণিল করার প্রানান্তকর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তাঁর নিষ্ঠাপূর্ণ সুষ্ঠু পরিচালনায় জামিয়া পটিয়া এখনো বহুমূখী উন্নয়ন-উন্নতির ধারা অব্যাহত রেখেছে। বর্তমানে তিনি আল-জামিয়া আল-ইসলামিয়া পটিয়ার সুষ্ঠু পরিচালনার পাশাপাশি আরো বহু মাদরাসার পরিচালনা ও পৃষ্ঠপোষকতার দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক উন্নয়নশীল ও সংস্কারধর্মী সংগঠনের পরিচালনা করে জাতির অনেক বড় খেদমত করে যাচ্ছেন।
তাঁর অন্যতম বৈশিষ্ট্য
আল্লাহ তা’য়ালা হযরতকে হক ও বাতিল নির্ণয় করার বিরল দক্ষতা প্রদান করেছেন। সাথে দিয়েছেন অদম্য সাহস ও অবিচলতা। সময়ের নবসৃষ্ট বাতিল ফিরকাসমূহের বিরুদ্ধে নির্ভীক চিত্তে প্রতিবাদ করে যান। তাতে বিরোধীদের সমালোচনা ও তিরস্কারের কোন ধরনের তোয়াক্কা করেন না।
‘ইসলামী সম্মেলন সংস্থা বাংলাদেশ’-র সভাপতি
১৯৮৬ সনে দেশব্যাপী ইসলামী সম্মেলনের কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত হয় ‘ইসলামী সম্মেলন সংস্থা বাংলাদেশ’। তিনি ছিলেন প্রতিষ্ঠাকালীন সেক্রেটারী জেনারেল। ১৯৮৬ থেকে ২০১৫ ইংরেজী পর্যন্ত এই দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন। ২০১৬ ইং হতে এ সংস্থার সভাপতির মহান দায়িত্ব আঞ্জাম দিয়ে যাচ্ছেন।
ইসলামী অর্থনীতিতে তাঁর অবদান
ইসলামী অর্থব্যবস্থা বর্তমান সময়ের অন্যতম চাহিদা ও দাবি। আধুনিক অর্থব্যবস্থা যথাযত অনুধাবন করে ইসলামী অর্থব্যবস্থার মাধ্যমে তার সমাধান পেশ করা একজন বিজ্ঞ মুফতির অন্যতম দায়িত্ব। এই গুরু দায়িত্ব তিনি পালন করে যাচ্ছেন। বর্তমানে তিনি ‘শাহ জালাল ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড’ এর সুপারভাইজারী কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনে নিয়োজিত আছেন।
আধ্যাত্মিক সাধনা
আল্লামা আব্দুল হালীম বোখারী রহ. কুতবে যামান আল্লামা মুফতী আজিজুল হক রহ. এর বিশিষ্ট খলীফা ‘জামিয়া ইসলামিয়া দারুসসুন্নাহ হ্নীলা’র সাবেক শায়খুল হাদীস আল্লামা ইসহাক (ছদর সাহেব হুযূর) রহ. এর হাতে বায়আত গ্রহণ করেন এবং খেলাফত লাভে ধন্য হন। বর্তমানে তাঁর অসংখ্য ভক্ত ও মুরীদ রয়েছে। অনেকেই তাঁর আধ্যাত্মিক আলো পেয়ে তাঁর কাছ থেকে খেলাফত লাভে ধন্য হয়েছেন।
তাঁর লিখিত গ্রন্থাবলি
(১) তাসহিলুত তাহাবী [তাহাবী শরীফের ব্যাখ্যাগ্রন্থ] (২) তাসহীলুত তিরমিজী [তিরমিযী শরীফের ব্যাখ্যাগ্রন্থ] (৩) তাসহিলুল উসূল [যা দরসের অর্ন্তভুক্ত]
মৃত্যু
বিগত ১৯ শে জুন ২০২২ বাদে মাগরিব এজমাজনিত কারণে শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেলে চট্টগ্রাম বিশেষায়িত হসপিটাল সি এস সিআর ভর্তি করা হয়। পরবর্তীতে অবস্থা অবনতি হলে আইসিইউতে নেয়া হয়। আজ ২০শে জিলদক ১৪৪৩ হিজরী মোতাবেক ২১শে জুন ২০২২ ইংরেজী সকাল ১০ঘটিকায় আমাদেরকে এতীম করে চলে যান, ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। রাত ১০ ঘটিকায় আল-জামিয়া আল-ইসলামিয়া পটিয়া প্রাঙ্গণে তাঁর জানাযার নামায অনুষ্ঠিত হবে। অতঃপর মাকবারায়ে আযীযীতে তাঁকে দাফন করা হবে। মৃত্যুকালে তিনি ৪ ছেলে, ৩ মেয়ে স্ত্রীসহ অসংখ্য ভক্ত-অনুরক্ত ও অগণীত গুণগাহী রেখে যান।
ফরিয়াদ ! হে আল্লাহ তাঁর খেদমাত কবুল করুন। তাঁর কবরতে জান্নাতে পরিণত করুন। তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজনকে সবরে জামীল দান করুন।
লেখক : শিক্ষক, আল-জামিয়া আল-ইসলামিয়া পটিয়া, চট্টগ্রাম
Leave a Reply