আমিনুল ইসলাম কাসেমী
আগে মনে করতাম, হেদায়েতুল্লাহ আজাদী শুধু ওয়াজের ময়দানের একজন বক্তা। প্রাথমিক পর্যায়ে তেমন গুরুত্ব তাঁকে দিইনি। একদিন তাঁর বয়ান শুনলাম কুয়াকাটা হুজুরের মাদ্রাসাতে। একদম হৃদয় কেড়ে নিল আজাদী ভাই। এরপর মাঝে মাঝে অনলাইনে তাঁর ওয়াজ শুনি।
ভাবতাম আজাদী ভাই শুধু ওয়ায়েজ। ওয়াজই তার পেশা। কদিন আগে বরিশালের জাগুয়া ইউনিয়ন এ তিনি নির্বাচনে দাঁড়ালেন। চেয়্যারম্যান পদপ্রার্থী। সত্যি করে বলছি, ভেবেছিলাম, হুজুর মানুষ আর কী ভোট পাবে। হয়তো কিছু ভোট পেয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হবে। কিন্তু যেদিন নির্বাচনের ফল বের হল, ওরে খোদা! বিপুল ভোটে বিজয় লাভ করলেন। আমার ধারণা পাল্টে গেল।
এরপর ইলেকশনের পরে চেয়্যারম্যানের শপথ নেওয়ার পর ভাবলাম, তিনি মনেহয় শুধু চেয়্যারে বসেই থাকবেন। আর হুকুম দিবেন। কিন্তু এ ধারণাটাও তিনি ভুল প্রমাণ করে দিলেন।
মানে আসলেই যে তিনি কতবড় মহান ব্যক্তিত্ব। তাঁর এই বিশাল জনপ্রিয়তা এমনিতে হয়নি। যেভাবে তিনি জনতার কাতারে নেমে কাজ করছেন। তাতে মোবারকবাদ না জানিয়ে পারছিনা। একেই বলে জনপ্রতিনিধি। একেই বলে জনগণের খাদেম। কোমরে গামছা বেঁধে যেমন ইলেকশনের আগে নেমেছিলেন, এখনো সে গামছা আছে। একবার তাঁকে দেখলাম রাস্তায় শ্রমিক হয়ে মাটি কাঁটতে। আবার দেখছি, কাঁধে করে বাঁশ নিয়ে নিজ হাতে জনতার জন্য সাঁকো নির্মাণ করছেন।
ভালবাসা অবিরাম আজাদী ভাই। আপনার মত চেয়্যারম্যান পুরোদেশে ভরে যাক। আপনারা জনগণের পাশে থাকেন চিরদিন। আল্লাহ আপনার খেদমত কবুল করুন। আমিন।
লেখক : মাদরাসা শিক্ষক
Leave a Reply