শীলন বাংলা ডটকম : জামিআ আফতাবনগর ও আবদুল হাফিজ তাহসীনুল কোরআন মাদরাসার সদরুল মুদাররিসীন আল্লামা আবু মুসা সংকটাপন্ন হেফাজত মহাসচিব নূর হোসাইন কাসেমীর জন্য দুআ কামনা করেছেন। তিনি বলেছেন, আমরা অনেকেই বাবা হারিয়েছি, মা হারিয়েছি। আপন জন হারিয়েছি। হযরত নূর হোসাইন কাসেমীর অনুপস্থিতি আমাদের সহ্য করা কঠিন হবে। আসুন আমরা আল্লাহর দরবারে হযরতের সুস্থতার জন্য দুআ করি। দুনিয়ার ডাক্তারদের জীবন-মৃত্যু নয়। বাঁচিয়ে রাখার মালিকতো আল্লাহ তাআলা। আল্লাহ যেনো আমাদের উস্তাদকে সুস্থ করে আবার ফিরিয়ে দেন।
শনিবার রাতে রাজধানীর পশ্চিম হাজিপাড়ার মাদরাসা উসমান রা. মিলনায়তনে ইসলাহী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
আল্লামা আবু মুসা বলেন, আলেমের সাহর্যেই প্রকৃত দ্বীন। হকপন্থীদের সঙ্গেই পরকালীন নাজাতের সম্পর্ক। ঘরে দ্বীন প্রতিষ্ঠা না করে সুন্দর মওতের আশা করা বোকামী। সুন্দর ও সফল মওত হলো কালেমায়ে তায়্যিবার সঙ্গে দুনিয়া ছেড়ে যাওয়া। কিন্তু ঘরে তো আমাদের সেই পরিবেশ নেই। ছেলে দ্বীনদার না হলে, নাতি দ্বীনদার না হলে, ভাই দ্বীনদার না হলে মৃত্যুর সময় সেই দ্বীনী পরিবেশ আশা করা যায় না। সুন্দর মওতের জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে। নিজের ঘরকে দ্বীনীবান্ধব বানাতে হবে।
সন্তান মাদরাসায় দেয়ার মাধ্যমে ঘরে দ্বীনের পরিবেশ তৈরি হয় মন্তব্য করে আল্লামা আবু মুসা বলেন, আপনার সন্তান মাদরাসায় দিন, ঘরে দ্বীনের পরিবেশ হবে। আখেরাতে এর ফসল আপনি ভোগ করতে পারবেন।
মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা আবু মূসা কবিরের পরিচালনায় আরও ইসলাহী বয়ান পেশ করেন নূরেরচালা কেন্দ্রীয় মসজিদের খতীব মাওলানা আবদুল্লাহ আল মামুন, নূরে মদীনা মডেল মাদরাসার প্রিন্সিপল মুফতী ইউসুফ, উসওয়াতুন হাসানা মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা সাইফুল্লাহ, আলজান্নাহ শিক্ষা ইনস্টিটিউট পরিচালক মাওলানা মাসউদুল কাদির।
উস্থিতত ছিলেন ফরিদপুর মটরস স্বত্বাধিকারী মনজুরুল হকসহ দ্বীনপ্রিয় অসংখ্য মানুষ।
পরে সবার জন্য ইসলাহী ইজতেমার আখেরি মোনাজাতের পর আপ্যায়নের ব্যবস্থা করা হয়।
Leave a Reply