খেলোয়াড়েরা দল বদল করে। প্রতিটি মৌসুমে ক্লাব চেঞ্জ করে অন্য দলে যোগদান করে। টাকা যেখানে বেশী সেখানে বিক্রি হয়ে যায়। আবাহনীর খেলোয়াড় চলে যায় মোহামেডানে। আবার মোহামেডানের খেলোয়াড় যায় ধানমন্ডি ক্লাব বা ফকিরাপুল ক্লাবে। আগে যে জার্সি ছিল সেটা বদল করে অন্য ইউনিফর্ম গায়ে জড়িয়ে নেয়। এভাবে যেখানে পয়সা বেশী, সুযোগ – সুবিধা বেশী সেখানে গিয়ে নাম লেখায়।
ঠিক বর্তমান কিছু রাজনীতিবিদ ওই সব খেলোয়াড়দের মত দল বদল শুরু করেছেন। যেখানে সুযোগ বেশী সেখানে গিয়ে যোগদান করেন। যে দলে অফার বেশী সে দলের জার্সি পরে রাজনীতিতে নামে। তাতে নীতি আদর্শের কোন তোয়াক্কা করেন না।
আচ্ছা, জার্সি পরিবর্তন করলেই কী চরিত্রের পরিবর্তন হয়? প্রতীক পরিবর্তন করলেই কী নীতি- আদর্শ বদলায়? বরং আগে দরকার চরিত্রের সংশোধন। নীতি – আদর্শ ঠিক করা। চরিত্র সংশোধন না হলে, নীতি ঠিক না থাকলে, মার্কা পরিবর্তন করে কোন লাভ নেই।
এবারের ইলেকশনে দেখা যাচ্ছে, এক সময় ছিল দাঁড়িপাল্লার কর্মি। এবার তিনি নৌকার মাঝি বনে গেছেন। আবার কেউ ছিল ধানের শীষের প্রার্থী, এবার তিনি নৌকা নিয়ে মাঠে লড়াই করছেন। মানে সুযোগ সন্ধানী। যেদিকে স্রোত সেদিকেই গা ভাসিয়ে দেয়।
এসব সুযোগ সন্ধানীদের দ্বারা জাতি কী কোন উপকার পাবে? তারা কী দেশ ও জাতির কল্যাণে কোন কাজ করতে পারবে?
এরা দুদিন পরপর খোলস বদলায়। একেক বেশ ধরে। কিন্তু মুল চরিত্র কিন্তু বদলায় না। বরং মুল চরিত্র সেই আগেরমত। কথায় বলে, “জাবাল গরদাদ জিবিল্লাত নাহ গরদাদ” পাহাড়ের পরিবর্তন হয় কিন্তু চরিত্রের পরিবর্তন হয়না।
যারা এক সময় বাতিল মতাদর্শে বিস্বাসী ছিল, দুর্নীতি, লুটপাটে ছিল ব্যস্ত। তাদের চরিত্র কী সহজে ঠিক হবে? ওদের চরিত্র সংশোধন না হওয়া পর্যন্ত ওদের থেকে ভাল কিছু আশা করা যায় না।
এজন্য চরমোনাই এর পীর সৈয়দ ফজলুল করীম রহ, বলেছিলেন, নেতার পরিবর্তন নয় নীতির পরিবর্তন চাই।
নেতার পরিবর্তন অহরহ হচ্ছে, কিন্তু নীতি পরিবর্তন হচ্ছেনা। সুতরাং নীতির পরিবর্তন দরকার। দুর্নীতি , লুটপাট, অন্যায় – জুলুম ত্যাগ করে ন্যায় প্রতিষ্ঠা করা ছাড়া জনতার শান্তি আসবেনা। আল্লাহ আমাদের উপর রহম করুন। আমিন।
Leave a Reply