সাঈদ মাহমুদ
আমার জানামতে মদিনার ইলমকে অনারব তথা এশিয়া মহাদেশ এবং গোটা বিশ্বের কাছে সঠিক ব্যাখ্যা করে পৌঁছিয়ে দেওয়ার তাহরিকের নাম দেওবন্দ। দেওবন্দি চিন্তাধারা অর্থাৎ বিশ্ব মানবতার কথা বলা। দেশের কথা বলা। জনগণের কথা বলা। মূর্খতা দূর করা। নির্ঘুম বিশ্রামহীন তাহরিক চালিয়ে যাওয়া।
এই চিন্তাধারা মুসলিম কোনো গোষ্ঠী অস্বীকার করাতো দূরের কথা কোনো কাফের গোষ্ঠীও বিরোধিতা করতে পারে না।
তাই দেওবন্দিদের সঙ্গ দিয়েছিল কংগ্রেস তথা গোটা ভারতবর্ষ। দলমতের ঊর্ধ্বে উঠে সব মতবাদের মানুষ। সঙ্গ দিয়েছিল পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ আলী জিন্নাহও।
সেকালের দেওবন্দিরা সঠিক পন্থায় কথা বলেছিল, কাজ করেছিল, শেষ রাতে চোখের পানি ঝরিয়ে ছিল। কিন্তু একালের দেওবন্দিরা মনে করে, দেওবন্দি চিন্তাধারা অর্থাৎ আওয়ামীলীগ বিরোধিতা, বিএনপি বিরোধিতা, জামায়াত বিরোধিতাসহ রাজনৈতিক বিরোধি শক্তির বিরোধিতা করা।
ইসলাম যেভাবে মানুষকে কাছে টানতে শেখায় দেওবন্দি চিন্তাধারা তা বাস্তবায়ন করে দেখায় মাত্র। এক কথায় ইসলামের বাস্তবিক ক্ষুদ্র একটি রুপরেখা ও উদাহরণ হলো দেওবন্দি চিন্তাধারা। কিন্তু বাংলাদেশ দেওবন্দি চিন্তাধারা বলতে ইসলামকে ঘরকেন্দ্রিক, মাদ্রাসা কেন্দ্রিক, এরিয়া কেন্দ্রিক,নিজ নিজ মতবাদ ও দল কেন্দ্রিক ছোট করার মতো কর্মকে দেওবন্দি চিন্তাধারা বুঝানো হয়।
বাস্তবে দেওবন্দি চিন্তাধারা অর্থাৎ বিশ্ব মানবতার কথা বলা। এখানে কোনো ধর্মের মানুষ বিরোধী হতে পারে না। সমস্যা হচ্ছে, আমরা সময়, পরিবেশের সাথে দেওবন্দি চিন্তাধারা ম্যাচিং করে উপাস্থাপন করতে পারছি না।
পড়ুন হুসেইন আহমদ মাদানী রা.-এর মাকতুবাতে শায়খুল ইসলাম। জানতে পারবেন অজানা অনেক কিছু। এই কিতাব পড়লে, বাংলাদেশের পায়েশ খেয়ে আয়েশ করা অনেক আলেমদের আলেমই বলতে পারবেন না। অথচ তারা নিয়মিত দেওবন্দি চেতনার দোহাই দিয়ে দাওয়াতি কাজ করে যাচ্ছেন।
লেখক : মাদরাসা শিক্ষক
Leave a Reply