আলাপন
প্রশ্ন : ইসলামি সংগীত গাওয়া কবে থেকে শুরু করেছেন?
রফিকুল্লাহ সাদী আল আযহারি : ১০ বছর বয়স থেকেই আমি সঙ্গীত চর্চা শুরু করি।
প্রশ্ন :প্রথম আপনার সঙ্গীতের উস্তাদ কে?
উত্তর : প্রাথমিকভাবে আমার বাবা, মা এবং ভাইয়ের কাছ থকে আমি সঙ্গীত শেখাটা শুরু করি। পরে শিশু-কিশোরদের আসর এবং গোমতী শিল্পী গোষ্ঠী। এককভাবে অনেক গীতিকার ও সুরকারের কাছে তালিম নিয়েছি- এখনো তা ধারাবাহিক।
প্রশ্ন : সঠিক প্রশিক্ষণ কি নতুন নাশিদ শিল্পীরা পাচ্ছে বলে মনে করেন?
উত্তর : আমার ধারণামতে এখন খুবই কম প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা আছে। গান তাড়াতাড়ি রিলিজ দেয়ার জন্য প্রাকটিস না করেই অনেকে মাইক্রোফোনের সামনে দাঁড়িয়ে যায়। তাই এখনকার নাশিদ শিল্পীদের কথা আগের মত বেশিদিন শ্রোতারা মনে রাখে না বা হারিয়েও যায় দ্রুত। তাই সংগীত প্রশিক্ষণ বৃদ্ধিসহ আমাদের শিল্পীদের চরিত্র গঠনেরও প্রচুর দরকার।
প্রশ্ন : দেশের হামদ-নাত শিল্পীরা শাস্ত্রীয় সংগীতের চর্চা কতটুকু করতে পারছে?
উত্তর : খুবই কম! শাস্ত্রীয় সংগীতের জন্য ওস্তাদের লং টাইম সান্নিধ্য নিতে হয়, কিন্তু এই সময়ে তা খুবই বিরল! অনেকেই পরিশ্রম ছাড়া তাড়াতাড়ি প্রসিদ্ধ হতে চায়।
প্রশ্ন : বর্তমানে আপনি কি করছেন?
উত্তর : দামামা ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ ছাড়াও আমি কয়েকটি প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করি এবং মিসরের আল আযহার বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স করছি।
প্রশ্ন : আপনার উল্লেখযোগ্য সংগীত কোনটি?
উত্তর : ‘কে যেন আমায় ডেকে যায়’, ‘হে রাসুল দাও না দেখা আমায়’, ‘মাথায় আজ কাফন বেঁধে নাও’, ‘সাকিয়ে কাউসার’-সহ আরো অনেক গান।
প্রশ্ন : ইসলামি সংগীত নিয়ে আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?
উত্তর : আন্তর্জাতিক একটি নাশিদ ব্যান্ড তৈরিসহ বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে ছড়িয়ে থাকা প্রতিভাবানদের শিক্ষার পাশাপাশি নাশিদ শিল্পী গড়ে তোলা।
প্রশ্ন : সামনে কোন নতুন সংগীত আসছে কি না?
উত্তর : জি, মিসরের বিভিন্ন স্থানে শুটিং করা ‘মরে যাবো বলে দুঃখ নেই’ নামে একটি নাশিদের কাজ করছি। ইনশাআল্লাহ খুব শিগগিরই আমার ভক্তরা তা উপভোগ করবে।
Leave a Reply