পল্লী গাঁয়ের মাঠ পেরিয়ে
গেলাম বনের কাছে
সেথায় নাকি জোনাক পোকা
পেখম মেলে নাচে।
পাহাড় আমায় বললো ডেকে
হিসেবটা কি বুঝো?
সাগর সেঁচে মুক্তা নাকি
হাত বাড়িয়ে খুঁজো।
নদীর কাছে প্রশ্ন আমার
বলো দেখি ভাই!
মাটির নিচে সাতরাজা ধন
কেমনে বলো পাই।
পুকুর ঘেরা গাছগাছালির
মিষ্টি রোদের হাসি
এসব দেখে পল্লী গাঁয়ে
আবার ফিরে আসি।
লাঙ্গল কাঁধে কৃষক মাঝি
জমিন করে চাষ
রঙিন স্বপ্ন বুকের ভেতর
করে বসবাস।
আউস ধানের ছড়ার ফাঁকে
গন্ধ শুঁকে নাকে
পাকা ধানের সোনালি রোদ
হাত বাড়িয়ে ডাকে।
আমন ধানের পাতার ফাঁকে
মুখ লুকিয়ে থাকে
ঝলমলে রোদ মিষ্টি হাসি
চোখের কোণে আঁকে।
আউস, আমন ধানের ঘ্রাণে
খুশি রাশি রাশি
দিনের শেষে উঠল ফোটে
কৃষক মুখে হাসি ।
পালকি চড়ে ছোটন বাবু
যাচ্ছে শশুর বাড়ি
শহর ছেড়ে গাঁও গেরামের
মেঠোপথটা ছাড়ি।
সঙ্গে যাবে ছোট্ট সে বোন
সাথে নিবে সই
খুশির ছোটে রঙ মেখে সে
করছে যে হৈ চৈ।
বলছে হেসে রূপের রাণী
আনন্দ আজ ঘরে
সেই আনন্দ সবার ঘরে
হৃদয় ছুঁয়ে পড়ে।
অচিনপুরে রূপের দেশে
নীল পরিটার বিয়ে
বর সেজে যাচ্ছে ছোটন
সোনার পালকি নিয়ে।
Leave a Reply