শীলন বাংলা ডটকম :: মনে হতে পারে কোনো এডভান্সারের গল্প। আদতে তা না। বিপদ থেকে ফিরোজ সিকদার জীবনে বেঁচে গেছে। শুনতে অবাক করা মনে হলেও বড় বিপদ থেকে রক্ষা পেয়েছেন তিনি। পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতে বেড়াতে গিয়ে নিখোঁজ যুবক ফিরোজ সিকদারের (২৯) খোঁজ মিলেছে বলে দাবি করেছে পরিবার। ফিরোজের মেজ ভাই মাসুম সিকদার জানিয়েছেন, ২৪ ঘণ্টার বেশি সময় সাগরে ভেসে ছিলেন ফিরোজ। বর্তমানে তিনি ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের রাজধানী চেন্নাইয়ে আছেন।
ফিরোজের বাড়ি পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার আমখোলা ইউনিয়নের আমখোলা বাজারে। মাসুম সিকদার বলেন, আজ শনিবার দুপুরে তাঁকে মুঠোফোনে কল করে ফিরোজ চেন্নাইয়ে থাকার কথা জানান। সেখানে তিনি স্থানীয় প্রশাসনের জিম্মায় চিকিৎসাধীন আছেন। তাঁকে দ্রুত দেশে ফেরানোর উদ্যোগ নিতে অনুরোধ করেছেন।
কীভাবে ফিরোজ চেন্নাইয়ে পৌঁছেছেন, সে বিষয়েও জানিয়েছেন মাসুম। দুপুরের ওই ফোনকলে কথোপকথনের বরাত দিয়ে মাসুম বলেন, গত ২৭ মে দুপুরে বন্ধুদের সঙ্গে কুয়াকাটার জিরো পয়েন্টে বঙ্গোপসাগরে গোসল করতে নামেন ফিরোজ। তাঁরা প্রায় তিন ঘণ্টা গোসল করেন। হঠাৎ ঢেউয়ের তোড় ফিরোজকে ভাসিয়ে নিয়ে যায়। চেষ্টা করেও তিনি উপকূলে আসতে পারছিলেন না। একপর্যায়ে কলাগাছ ভেসে যেতে দেখে দুই হাত দিয়ে তা জাপটে ধরেন।
ফিরোজের বরাত দিয়ে মাসুম বলেন, প্রায় ২৪ ঘণ্টার বেশি সময় সাগরে ভেসে ছিলেন ফিরোজ। একপর্যায়ে মাছ ধরার একটি ট্রলারে ওঠার পর ফিরোজ স্বাভাবিক হন। ট্রলারটি ছিল ভারতীয় জেলেদের। তাঁরাই ফিরোজকে উদ্ধার করে এবং সঙ্গে করে চেন্নাই নিয়ে যান। ফিরোজের বিষয়টি সেখানকার প্রশাসনকেও জানিয়েছেন জেলেরা।
ফিরোজের খোঁজ পাওয়ার বিষয়টি কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশকে জানিয়েছেন মাসুম সিকদার। ট্যুরিস্ট পুলিশের কুয়াকাটা জোনের সহকারী সুপার আবদুল খালেক বলেন, তথ্যটি পেয়েছেন। তাঁরাও খোঁজখবর নিচ্ছেন।
গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশীষ কুমার জানিয়েছেন, সরকারিভাবেই ফিরোজকে ভারত থেকে আনার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ফিরোজ সিকদার পেশায় ব্যবসায়ী। আমখোলা বাজারে ভাই ভাই গার্মেন্টস নামের একটি দোকান আছে তাঁর। গত ২৬ মে এক ভাগনে ও বন্ধুদের সঙ্গে কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতে যান তিনি। থাকেন রয়্যাল প্যালেস নামের একটি আবাসিক হোটেলে। পরদিন ২৭ মে দুপুর ১২টার দিকে সবাই মিলে সাগরে গোসল করতে নামেন।
Leave a Reply