শেখ ফজলুল করীম মারুফ : কি ভয়ংকর!! বুয়েটের মতো নামী বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষিত মেধাবী ছাত্ররা তাদেরই আরেকজন শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে মেরে ফেলেছে!!!
দল বেঁধে সময় নিয়ে একজন মানুষকে পিটিয়ে মারতে হলে ঠান্ডা মাথার নৃশংস পিশাচ হতে হয়। বুয়েটের শিক্ষার্থী হয়ে ওরা এমন ঠান্ডা মাথার খুনী হলো কি করে?
সবাই জেনেছে যে, খুনীরা ছাত্রলীগের নেতা। ছাত্রলীগকে আমরা একটা রাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে জানতাম যারা সন্ত্রাস চর্চা করে। কিন্তু ছাত্রলীগ যে এভাবে উম্মাদ খুনী তৈরী করে সেটা এই ঘটনায় আবারো প্রমাণ হলো।
আমরা এই নৃশংস হত্যাকান্ডের তীব্র সমালোচনা করছি। এবং এর বিচার দাবী করছি।
বাংলাদেশে যেকোন হত্যাকান্ডের পরে নিহত ব্যক্তির কল্পিত রাজনৈতিক পরিচয়কে সামনে এনে পশুসুলভ হত্যাকান্ডকেও নৈতিকভাবে সমর্থন করা হয়।
আবরার ফাহাদের হত্যাকান্ডকেও এইরুপ নৈতিক সমর্থন দেয়ার অপচেষ্টা জাতীর জন্য বিপদ ডেকে আনবে।
আমরা আশা করবো, একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে এইরুপ হত্যাকান্ডের দ্রুত ও কার্যকর বিচার করা হবে।
লেখক : সভাপতি, ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন
Leave a Reply