আশরাফ হুমাইদ • দুষ্কৃতকারীদের ইন্ধনে একটি দ্বীনি প্রতিষ্ঠান ধ্বংস কিছুতেই হতে পারে না বলে অভিমত ব্যক্ত করে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমীর, দারুল উলূম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারীর মহাপরিচালক ও কওমী মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড (বেফাক) চেয়ারম্যান শায়খুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফী বলেন, প্রতিটি মুসলমানকে হালাল-হারাম বেঁচে চলতে হবে। ইসলামী শরীয়তে যে সব বিষয় হারাম করা হয়েছে এসব থেকে নিজেকে মুক্ত রাখতে হবে। যারা মাদ্রাসার টাকা আত্মসাৎ করেছেন তারা দেশ, জাতি ও ইসলামের শত্রু।
তিনি বলেন, ঐতিহ্যবাহী এই মাদরাসাটি আর্থিক কেলেঙ্কারিতে জর্জরিত। এই মাদরাসার সকল দায়িত্ব এখন আমার। আমি মোহতামিমের সকল দায়িত্ব গ্রহণ করলাম।
১০ সেপ্টেম্বর সোমবার বাঁশখালীর ঐতিহ্যবাহী দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আল জামিয়া আল ইসলামিয়া জলদী মাখজনুল উলুম (বাইঙ্গাপাড়া) বড় মাদ্রাসার চলমান সংকট নিরসনে আয়োজিত জরুরি মজলিসে শুরা মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।
এলাকাবাসী’র উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা এই দ্বীনি প্রতিষ্ঠানকে অার্থিক ও পরামর্শ প্রদানের মাধ্যমে সহযোগিতা করবেন। যে বা যারা প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে তাদের বিচার আমি করার অধিকার রাখি কিন্তু আমি করবো না। কেয়ামতের দিন এর বিচার আমি আল্লাহকে দিব। দুষ্কৃতকারীদের ইন্ধনে একটি দ্বীনি প্রতিষ্ঠান ধ্বংস কিছুতেই হতে পারে না।
আল্লামা শফি বলেন, আপনারা ওয়াদা করেন , যে প্রত্যেকের অন্তত একটি ছেলেকে হাফেজ, আলেম, মুহাদ্দিস বানাবেন। কওমী মাদ্রাসায় লেখা পড়া করে কেউ বেকার থাকে না। কেউ উপবাস থাকে না। রিজিকের মালিক আল্লাহপাক । তিনি কাউকে উপবাস রাখেন না।
নিজেকে একটি কওমী মাদ্রাসার পরিচালক উল্লেখ করে আল্লামা শফী আরো বলেন, আমি আপনাদের নিকট ভিক্ষা চাইতেছি , অন্তত একটি ছেলেকে মাদ্রাসায় দিন! বর্তমানে ৯০ বছর বয়সে উপনীত হয়েছি কোন দিন উপবাস থাকিনি আলহামদুলিল্লাহ!
ফারিগীন আলেম উলামাদের উদ্দেশে হাজার হাজার আলেমের উস্তাদ বয়োবৃদ্ধ এই আলেমে দ্বীন স্বীয় মুর্শিদ সায়্যিদ হোসাইন আহমদ মাদানীর স্মৃতিচারণ করে বলেন, আমি অসুস্থ শরীর নিয়ে আপনাদের বাঁশখালীতে এই মাদ্রাসাটি রক্ষা করার জন্য এসেছি শুধু কওমী মাদ্রাসার প্রতি ভালবাসার কারণে।
শীলনবাংলা/৩০৮
Leave a Reply