সগীর আহমদ চৌধুরী :: আমাদের অত্যন্ত প্রিয় দীনী ছোট ভাই মুস্তাফিজুর রহমান অবশেষে চলে গেলেন না ফেরার দেশে। দীর্ঘসময় কোমায় ছিলেন, তারপর বড় ভাইয়ের বাসায় শয্যাশায়ী ছিলেন আরও অনেক দিন। শেষ পর্যন্ত গতকাল রাতে চলে যান আল্লাহর রহমতের দিকে।
আমি চট্টগ্রাম মহানগরের ছাত্র আন্দোলনে যখন সভাপতি ছিলাম তখন যাদেরকে আমরা নেতৃত্ব দিয়েছি আমাদের সেইসব কর্মিদের হাতেই এই মুস্তাফিজ ভাইয়েরা গড়ে ওঠেছেন। তাঁরা আমাদের বেশ সম্মান করে, মুস্তাফিজদের সাথে দেখা হলেই সসম্মানে যে বড় ভাই/ভাইয়া বলে ডাক শুনতে পেতাম সেটি যে কতো মুহাব্বতের ডাক ছিল তা অন্য সময় না হলেও এখন বুঝতে পারছি, খুবই মিস করছি।
আমার সাথে তাঁর খুব বেশি স্মৃতি নেই, সকাল থেকে অ্যালবাম ঘেঁটে এই একটি ছবিমাত্র বের করলাম। তবে সে ছিল অত্যন্ত বিনয়ী, আদর্শবান, দীনদার, আন্তরিক, সাহসী, পরিশ্রমী। তাঁর ব্যাপারে একটি বিষয় খুব মনে পড়ছে আমার। ইসলামী আন্দোলন/ছাত্রআন্দোলনের যেকোনো জনসংশ্লিষ্ট মিছিল-সমাবেশে আমার জন্য সময় থাকতো প্রায়; এ ক্ষেত্রে আমাকে অনেক সময় প্রাধান্য দিতেও দেখা যেতো। তবে আমি যাঁকে প্রাধান্য দিতাম তাঁর নাম হচ্ছে, আমাদের এই মুস্তাফিজুর রহমান ভাই।
ঝাঁঝালো বক্তব্য দিতো সে, মিনিটের মধ্যে পুরো সমাবেশকে উত্তাল করে দিতে এক অসাধারণ বাকদক্ষতা ছিল তাঁর, কথা বলতে শুরু করলে খৈ ফোটতো তাঁর মুখে, বক্তব্যে কোনো ছন্দপতন ছিল না তাঁর, একই ধারাবাহিকতায় শুরু-শেষ বজায় থাকতো। বেঁচে থাকলে তাঁর এই বাগ্মিতার জোরে বিপ্লবের জন্য বিশাল ভূমিকা রাখতে পারতো বলে আমি বেশ আশাবাদী ছিলাম। আজ ভাইটি আমাদের সবাইকে আল-বিদা জানিয়ে মাওলা পাকের দরবারে হাজির হলেন। ওপারে ভাইটির জন্য শাহাদতের দরজা কামনা করি।
লেখক : গবেষক ও কলামিস্ট
Leave a Reply